সিজদার তাসবিহ
সিজদা হল দো‘আ কবুলের সর্বোত্তম সময়। আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত রাসূলূল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন,
أَقْرَبُ مَا يَكُوْنُ الْعَبْدُ مِنْ رَّبِّهِ وَهُوَ سَاجِدٌ فَأَكْثِرُوا الدُّعَاءَ
অর্থ:
বান্দা স্বীয় প্রভুর সর্বাধিক নিকটে পৌঁছে যায়, যখন সে সিজদায় রত হয়। অতএব তোমরা ঐ সময় বেশী বেশী প্রার্থনা কর।
অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমরা প্রার্থনায় সাধ্যমত চেষ্টা কর। আশা করা যায়, তোমাদের দো‘আ কবুল করা হবে’।
[মুসলিম, মিশকাত হা/৮৯৪, অনুচ্ছেদ-১৪]
তিনি আরও বলেন, রুকূ ও সিজদাতে কমপক্ষে তিনবার তাসবীহ পাঠ করবে।
[ইবনু মাজাহ হা/৮৮৮]
সিজদার জন্য হাদীসে অনেকগুলি দো‘আ এসেছে। তার মধ্যে বহুল প্রচলিত দো'আ হল,
سُبْحَانَ رَبِّىَ الْأَعْلَى
উচ্চারণ:
সুবহা-না রব্বিয়াল আ‘লা।
অর্থ:
মহা পবিত্র আমার প্রতিপালক যিনি সর্বোচ্চ।
এই দো'আটি তিনবার বলা। তবে তিনবারের বেশীও বলা যেতে পারে।
সিজদার অন্যান্য দো'আ হল -
اَللَّهُمَّ اغْفِرْ لِيْ ذَنْبِيْ كُلَّهُ دِقَّهُ وَجِلَّهُ وَ أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ وَعَلاَنِيَتَهُ وَسِرَّهُ
উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মাগফিরলি জম্বি কুল্লাহু, দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু, ওয়া আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু, ওয়া আলানিয়াতাহু ওয়া সিররাহু।
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ لآ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ
উচ্চারণ:
সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, লা ইলাহা ইল্লা আনতা।
اَللَّهُمَّ اغْفِرْ لِيْ مَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ
উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মাগ ফীরলী মা-আসররতু ওয়া মা-আ'লানতু।
اَللَّهُمَّ إنِّيْ أَعُوْذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ، وَأَعُوْذُ بِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوْبَتِكَ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْكَ، لاَ أُحْصِيْ ثَنَاءً عَلَيْكَ، أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ
উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা ইন্নী আ'উজুবিরি-য-কা মিন সাখাতিকা, ওয়া আউজুবিমুআ-ফা-তিকা মিন উকুবাতিকা, ওয়া আউজুবিকা মিনকা, লা- উহসী ছানা-আন আলাইকা, আ'নতা কামা- আছনায়তা আলা নাফসিকা।
اَللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ وَ أَنْتَ رَبِّىْ، سَجَدَ وَجْهِيَ لِلَّذِيْ خَلَقَهُ وَصَوَّرَهُ فَأَحْسَنَ صُوَرَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ، فَتَبَارَكَ اللهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِيْنَ
উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা লাকা সাজাদতু, ওয়া বিকা আমানতু, ওয়া লাকা আসলামতু, ওয়া আনতা রাব্বি। সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাযি খালাকাহু ওয়া সাওয়ারাহু ফা আহসানা সাওয়ারাহু, ওয়া শাক্কা সামআহু ওয়া বাসারাহু। ফা তাবারাকাল্লাহু আহসানুল খালিকীন।