আল্লাহুম্মা

 শিরক থেকে বাঁচার জন্যে প্রতিদিন এই দোয়া তিনবার পড়বে

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَأَنَا أَعْلَمُ، وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لَا أَعْلَمُ

উচ্চারণ :

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা আন উশরিকা বিকা ওআনা আ’লাম ওয়া আস্তাগফিরুকা লিমা লা আ’লাম।

অর্থ :

হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি জ্ঞাতসারে আপনার সাথে কাউকে শরিক করা থেকে । আর আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি ঐ সকল বিষয়ে, যা আমি জানি না।

ফজিলত :

হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি জ্ঞাতসারে আপনার সাথে কাউকে শরিক করা থেকে । আর আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি ঐ সকল বিষয়ে, যা আমি জানি না।

ٰاَللّٰهُمَّ اغْفِرْلِيْ وَارْحَمْنِيْ وَاَلْحِقْنِيْ بِالرَّفِيْقِ الْاَعْلٰى

উচ্চারণ :

আল্লাাহুম্মাগফিরলী ওয়ার হামনী ওয়া আলহিক্বনী বিররফী-ক্বিল আ‘লাা

অর্থ :

হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার উপর রহমত ও দয়া বর্ষণ করুন এবং আমাকে রফিকে আ’লা (নবী ও সালেহগণ)-এর সাথে মিলিত করে দিন।

ফজিলত :

হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার উপর রহমত ও দয়া বর্ষণ করুন এবং আমাকে রফিকে আ’লা (নবী ও সালেহগণ)-এর সাথে মিলিত করে দিন।

اَللّٰهُمَّ اَعِنِّيْ عَلٰى غَمَرَاتِ الْمَوْتِ وَ سَكَرَاتِ الْمَوْتِ

উচ্চারণ :

আল্লাাহুম্মা আ‘ইন্নী ‘আলাা গমারাা তিল মাউতি ওয়া সাকারাা তিল মাঊত।

অর্থ :

হে আল্লাহ! আপনি মৃত্যুর কষ্ট ও মৃত্যুর যন্ত্রণায় আমাকে সাহায্য করুন।

ফজিলত :

হে আল্লাহ! আপনি মৃত্যুর কষ্ট ও মৃত্যুর যন্ত্রণায় আমাকে সাহায্য করুন।

اَللّٰهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا فَرْطًا وَّاجْعَلْهُ لَنَا اَجْرًا وَّذُخْرًا وَّاجْعَلْهُ لَنَا شَافِعًا وَّمُشَفَّعًا

উচ্চারণ :

আল্লাহুম্মাজ আলহুলানা ফারতাঁও ওয়াজ আলহুলানা আজরাও ওয়া যুখরাঁও ওয়াজ আলহুলানা শাফিয়ান ওয়া মুশাফ্ফাআন।

অর্থ :

হে আল্লাহ! উহাকে আমাদের জন্য অগ্রগামী কর ও উহাকে আমাদের পুরস্কার ও সাহায্যের উপলক্ষ কর এবং উহাকে আমাদের সুপারিশকারী ও গ্রহনীয় সুপারিশকারী বানাও।

ফজিলত :

হে আল্লাহ! উহাকে আমাদের জন্য অগ্রগামী কর ও উহাকে আমাদের পুরস্কার ও সাহায্যের উপলক্ষ কর এবং উহাকে আমাদের সুপারিশকারী ও গ্রহনীয় সুপারিশকারী বানাও।

ًاَللّٰهُمَّ اجْعَلْهَا لَنَا فَرْطًا وَّاجْعَلْهَا لَنَا اَجْرًا وَّذُخْرًا وَّاجْعَلْهَا لَنَا شَافِعَةً وَّمُشَفَّعَة

উচ্চারণ :

আল্লাহুম্মাজ আলহা লানা ফারতাঁও ওয়াজ আলহা লানা আজরাঁও ওয়া যুখরাঁও ওয়াজ আলহা লানা শা-ফিয়াতান ওয়া মুশাফ্ফায়াহ।

অর্থ :

হে আল্লাহ! ইহাকে আমাদের জন্য অগ্রগামী কর ও ইহাকে আমাদের পুরস্কার ও সাহায্যের উপলক্ষ কর। এবং ইহাকে আমাদের সুপারিশকারী ও গ্রহনীয় সুপারিশকারী বানাও।

ফজিলত :

হে আল্লাহ! ইহাকে আমাদের জন্য অগ্রগামী কর ও ইহাকে আমাদের পুরস্কার ও সাহায্যের উপলক্ষ কর। এবং ইহাকে আমাদের সুপারিশকারী ও গ্রহনীয় সুপারিশকারী বানাও।

اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْاَلُكَ خَيْرَ الْمَوْلِجِ وَخَيْرَ الْمَخْرَجِ * بِسْمِ اللهِ وَلَجْنَا وَ بِسْمِ اللهِ خَرَجْنَا * وَعَلَى اللهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا

উচ্চারণ :

আল্লাাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা খাইরাল মাওলিজি ওয়া খাইরাল মাখরজি, বিসমিল্লাাহি ওয়ালাজনাা ওয়া বিসমিল্লাাহি খারাজনাা ওয়া ‘আলাল্লাাহি রব্বিনাা তাওয়াক্কালনাা।

অর্থ :

হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ভিতরে প্রবেশ করার এবং বের হবার মঙ্গল কামনা করছি। আমরা আল্লাহ তা’আলার নামে প্রবেশ করলাম এবং আল্লাহর নামে বের হলাম এবং আমরা আমাদের প্রতিপালক আল্লাহর উপর ভরসা করলাম।

ফজিলত :

হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ভিতরে প্রবেশ করার এবং বের হবার মঙ্গল কামনা করছি। আমরা আল্লাহ তা’আলার নামে প্রবেশ করলাম এবং আল্লাহর নামে বের হলাম এবং আমরা আমাদের প্রতিপালক আল্লাহর উপর ভরসা করলাম।

اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْمَا رَزَقْتَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

উচ্চারণ :

আল্লহুম্মা বারিক লানা ফি মা রযাক্বতানা ওয়াক্বিনা আজাবান্নার।

অর্থ :

হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে যে রিয্‌ক দান করেছেন তাতে বরকত দান করুন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।

ফজিলত :

হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে যে রিয্‌ক দান করেছেন তাতে বরকত দান করুন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِوَجْهِكَ الْكَرِيمِ، وَكَلِمَاتِكَ التَّامَّةِ، مِنْ شَرِّ مَا أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ، اللَّهُمَّ أَنْتَ تَكْشِفُ الْمَغْرَمَ وَالْمَأْثَمَ، اللَّهُمَّ لَا يُهْزَمُ جُنْدُكَ، وَلَا يُخْلَفُ وَعْدُكَ، وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ سُبْحَانَكَ وَبِحَمْدِكَ

উচ্চারণ :

আললাহুমমা ইন্নি আউযুবিকা বি ওয়াজহিকাল কারীম ওয়া কালিমাতিকাত তাম্মাতি মিন শাররী মা আনতা আখিযুম বি নাসিয়াতিহি, আললাহুমমা আনতা তাকশিফুল মাগরামা ওয়াল মা’ছামা, আললাহুমমা লা ইউহযামু জুনদুকা,ওয়া লা ইয়ুখলাফু ওয়াদুকা ওয়া লা ইয়ানফাউ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু, সুবহানাকা ওয়া বিহামদিকা।

অর্থ :

হে আল্লাহ। আমি আপনার সম্মানিত চেহারার অসিলায় সব কিছু থেকে পানাহ চাচ্ছি, আর আপনার পরিপূর্ণ কালিমার অসিলায় অনিষ্টকর সব কিছু থেকে নাজাত চাচ্ছি, যা আপনার নিয়ন্ত্রণে আছে। হে আল্লাহ! আপনিই করয আদায় করে থাকেন এবং গুনাহ মাফ করে দেন। হে আল্লাহ! আপনার বাহিনী পরাজিত হবার নয় এবং ওয়াদা ভঙ্গ হয় না। আর কোন বিত্তবানের বিত্ত আপনার সামনে কাজে আসবে না। আপনি পবিত্র মহান, আর সব প্রশংসা আপনারই।

ফজিলত :

হে আল্লাহ। আমি আপনার সম্মানিত চেহারার অসিলায় সব কিছু থেকে পানাহ চাচ্ছি, আর আপনার পরিপূর্ণ কালিমার অসিলায় অনিষ্টকর সব কিছু থেকে নাজাত চাচ্ছি, যা আপনার নিয়ন্ত্রণে আছে। হে আল্লাহ! আপনিই করয আদায় করে থাকেন এবং গুনাহ মাফ করে দেন। হে আল্লাহ! আপনার বাহিনী পরাজিত হবার নয় এবং ওয়াদা ভঙ্গ হয় না। আর কোন বিত্তবানের বিত্ত আপনার সামনে কাজে আসবে না। আপনি পবিত্র মহান, আর সব প্রশংসা আপনারই।

اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَزِدْنَا مِنْهُ.

উচ্চারণ :

আল্লাহুম্মা বারিক-লানা ফিহি ওয়াঝিদনা মিনহ্‌।

অর্থ :

হে আল্লাহ! আপনি এই দুধের মধ্যে বরকত দান করুন এবং অধিক পরিমাণে দান করুন।

ফজিলত :

হে আল্লাহ! আপনি এই দুধের মধ্যে বরকত দান করুন এবং অধিক পরিমাণে দান করুন।

اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فيْ ثَمَرِنَا. وَبَارِكْ لَنَا فِيْ مَدِيْنَتِنَا. وَبَارِكْ لَنَا فِيْ صَاعِنَا. وَبَارِكْ لَنَا فِيْ مُدِّنَا.

উচ্চারণ :

আল্লাাহুম্মা বাারিক লানা ফী সামারিনাা ওয়া বাারিক লানাা ফী মাদীনাতিনাা ওয়া বাারিক লানাা ফী সাা ’ইনাা ওয়া বাারিক লানাা ফী মুদ্দি নাা।

অর্থ :

হে আল্লাহ, আপনি আমাদের ফল-ফলাদিতে বরকত দিন, আমাদের শহরে বরকত দিন, আমাদের সা‘ তথা বড় পরিমাপক যন্ত্রে বরকত দিন, আমাদের মুদ্দ তথা ছোট পরিমাপক যন্ত্রে বরকত দিন।

ফজিলত :

হে আল্লাহ, আপনি আমাদের ফল-ফলাদিতে বরকত দিন, আমাদের শহরে বরকত দিন, আমাদের সা‘ তথা বড় পরিমাপক যন্ত্রে বরকত দিন, আমাদের মুদ্দ তথা ছোট পরিমাপক যন্ত্রে বরকত দিন।

اَللّٰهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ وَمَا اَظَلَّتْ وَرَبَّ الْاَرَضِيْنَ وَمَا اَقَلَّتْ وَرَبَّ الشَّيَاطِيْنَ وَمَا اَضَلَّتْ كُنْ لِّيْ جَارًا مِّنْ شَرِّ خَلْقِكَ كُلِّهِمْ جَمِيْعًا اَنْ يَفْرُطَ عَلَيَّ اَحَدٌ مِّنْهُمْ اَوْ اَنْ يَّبْغِيَ عَزَّ جَارُكَ وَجَلَّ ثَنَاؤُكَ لَاۤ اِلٰهَ غَيْرُكَ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ .

উচ্চারণ :

আল্লাাহুম্মা রব্বাস সামাওয়াা তিস সাব‘ই ওয়ামাা আযা ল্লাত ওয়া রব্বাল আরাযীনা ওয়ামাা আক্বাল লাত ওয়া রব্বাশ শায়াা ত্বীনি ওয়ামাা আযাল লাত কুন লী জাা রন মিন শাররি খলক্বিকা কুল্লিহিম জামী‘আন আন ইয়াফরুত্বা ‘আলাইয়্যা আহাদুন মিনহুম আউ আন ইয়াবগিয়া ‘আযযা জাা রুকা ওয়া জাল্লা সানাা উকা ওয়ালাা ইলাহা গইরুকা লাা ইলাাহা ইল্লাা আনতা।

অর্থ :

হে আল্লাহ! আপনি সপ্ত আকাশের প্রতিপালক এবং ঐ সকল বস্তুর প্রতিপালক, যার উপর সপ্তম আকাশ বিস্তার করে আছে এবং যিনি সমগ্র জমিনের প্রতিপালক এবং ঐ সকল বস্তুর প্রতিপালক যা সমগ্র জমিন বহন করে আছে এবং যিনি শয়তান ও ঐ লোকদের প্রতিপালক যাদেরকে শয়তান গোমরা করেছে। হে প্রতিপালক আল্লাহ! আপনি সমগ্র মাখলুকের অনিষ্ট হতে আমার রক্ষাকারী এবং আশ্রয়দাতা হয়ে যান। যাতে এ সকল মাখলুকের মধ্য হতে কোন মাখলুক আমার উপর অত্যাচার-অবিচার করতে না পারে। নিশ্চয়ই একমাত্র আপনার আশ্রিত ব্যক্তিই প্রভাবশালী নিরাপদ এবং একমাত্র আপনার প্রশংসাই অতি মহান। আপনি ছাড়া অপর কোন মা‘বুদ নেই। একমাত্র আপনি ইবাদতের যোগ্য।

ফজিলত :

হে আল্লাহ! আপনি সপ্ত আকাশের প্রতিপালক এবং ঐ সকল বস্তুর প্রতিপালক, যার উপর সপ্তম আকাশ বিস্তার করে আছে এবং যিনি সমগ্র জমিনের প্রতিপালক এবং ঐ সকল বস্তুর প্রতিপালক যা সমগ্র জমিন বহন করে আছে এবং যিনি শয়তান ও ঐ লোকদের প্রতিপালক যাদেরকে শয়তান গোমরা করেছে। হে প্রতিপালক আল্লাহ! আপনি সমগ্র মাখলুকের অনিষ্ট হতে আমার রক্ষাকারী এবং আশ্রয়দাতা হয়ে যান। যাতে এ সকল মাখলুকের মধ্য হতে কোন মাখলুক আমার উপর অত্যাচার-অবিচার করতে না পারে। নিশ্চয়ই একমাত্র আপনার আশ্রিত ব্যক্তিই প্রভাবশালী নিরাপদ এবং একমাত্র আপনার প্রশংসাই অতি মহান। আপনি ছাড়া অপর কোন মা‘বুদ নেই। একমাত্র আপনি ইবাদতের যোগ্য।

اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ اَحْيَانَا بَعْدَ مَا اَمَاتَنَا وَ اِلَيْهِ النُّشُوْرُ

উচ্চারণ :

আলহামদু লিল্লাা হিল্লাযী আহ ইয়াানাা বা‘দা মাা আমাা তানাা ওয়া ইলাইহিন নুশূর।

অর্থ :

সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি আমাদের মৃত্যু দানের পর পুনরায় জীবন দান করেছেন এবং মৃত্যুর পর তাঁ‍রই নিকট আমাদের প্রত্যাবর্তন করতে হবে।

ফজিলত :

সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি আমাদের মৃত্যু দানের পর পুনরায় জীবন দান করেছেন এবং মৃত্যুর পর তাঁ‍রই নিকট আমাদের প্রত্যাবর্তন করতে হবে।

اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ

উচ্চারণ :

আল্লাহুম্মাক ফিনি বিহালালিকা ’আন হার-মিকা ওয়াগনিনি বি ফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।

অর্থ :

হে আল্লাহ তুমি তোমার হারাম বস্তু হতে বাঁচিয়ে তোমার হালাল রিযিক দ্বারা আমাকে পরিতুষ্ট করে দাও ( হালাল রুজিই যেন আমার জন্য যথেষ্ট হয় ) এবং হারামের দিকে যাওয়ার প্রয়োজন এবং প্রবণতা বোধ না করি এবং তোমার অনুগ্রহ অবদান দ্বারা তুমি ভিন্ন অন্য সকল হতে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দাও।

ফজিলত :

হে আল্লাহ তুমি তোমার হারাম বস্তু হতে বাঁচিয়ে তোমার হালাল রিযিক দ্বারা আমাকে পরিতুষ্ট করে দাও ( হালাল রুজিই যেন আমার জন্য যথেষ্ট হয় ) এবং হারামের দিকে যাওয়ার প্রয়োজন এবং প্রবণতা বোধ না করি এবং তোমার অনুগ্রহ অবদান দ্বারা তুমি ভিন্ন অন্য সকল হতে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দাও।

اللهم رَبَّـنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

উচ্চারণ :

আল্লাহুম্মা রব্বানা আতীনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওকিনা আজাবান্নার

অর্থ :

হে আল্লাহ্‌! আমাদের প্রতিপালক! দুনিয়া ও আখেরাতে আমাদেরকে কল্যাণ দান করুন। এবং জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ দান করুন।

ফজিলত :

হে আল্লাহ্‌! আমাদের প্রতিপালক! দুনিয়া ও আখেরাতে আমাদেরকে কল্যাণ দান করুন। এবং জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ দান করুন।

""اَللَّهُمَّ اهْدِنِيْ فِيْمَنْ هَدَيْتَ، وَعَافِنِيْ فِيْمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنِيْ فِيْمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ لِيْ فِيْمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنِيْ شَرَّمَا قْضَيْتَ؛ إِنَّكَ تَقْضِىْ وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ، وَإنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَّالَيْتَ، وَلاَ يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ""

উচ্চারণ :

আল্লা-হুম্মাহদিনী ফীমান হাদাইতা ওয়া ‘আ-ফিনী ফীমান ‘আ-ফাইতা ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইতা ওয়াবা-রিক লী ফীমা আ‘ত্বাইতা ওয়াক্বিনী শাররা মা ক্বাদাইতা ফাইন্নাকা তাক্ব‌্দ্বী ওয়ালা ইউক্ব্‌দ্বা ‘আলাইকা। ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মাও ওয়া-লাইতা, ওয়ালা ইয়া‘ইয্যু মান ‘আ-দাইতা। তাবা-রক্‌তা রব্বানা ওয়া তা‘আ-লাইতা)

অর্থ :

“হে আল্লাহ! আপনি যাদেরকে সুখদায়ক সৎ পথ প্রকৃত ইসলামের অনুগামী করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সুখশান্তিপূর্ণ মঙ্গলময় জীবন প্রদান করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সর্ব প্রকার কল্যাণ প্রদানের সহিত সাহায্য করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি আমাকে যে সমস্ত মঙ্গলদায়ক জিনিস প্রদান করেছেন, সেগুলিকে আমার জন্য অধিকতর মঙ্গলদায়ক করুন। আপনি যে ফয়সালা করেছেন, তার অমঙ্গল হতে আমাকে রক্ষা করুন। কেননা সব জগতের সঠিক পরিচালনার জন্য যে ফয়সালা আপনি করেছেন, সেটাই সঠিক ফয়সালা। তাই আপনার ফয়সালার উপরে আর কোনো প্রকারের সঠিক ফয়সালা নেই। আপনি যাকে ভালো বাসবেন, সে কোনো দিন অপমানিত হতে পারে না। আর আপনি যার জন্য অমঙ্গল নির্ধারণ করবেন, সে কোনো দিন শক্তিশালী হতে পারবে না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি মহাকল্যাণময় এবং মহামহিমান্বিত”।

ফজিলত :

“হে আল্লাহ! আপনি যাদেরকে সুখদায়ক সৎ পথ প্রকৃত ইসলামের অনুগামী করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সুখশান্তিপূর্ণ মঙ্গলময় জীবন প্রদান করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সর্ব প্রকার কল্যাণ প্রদানের সহিত সাহায্য করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি আমাকে যে সমস্ত মঙ্গলদায়ক জিনিস প্রদান করেছেন, সেগুলিকে আমার জন্য অধিকতর মঙ্গলদায়ক করুন। আপনি যে ফয়সালা করেছেন, তার অমঙ্গল হতে আমাকে রক্ষা করুন। কেননা সব জগতের সঠিক পরিচালনার জন্য যে ফয়সালা আপনি করেছেন, সেটাই সঠিক ফয়সালা। তাই আপনার ফয়সালার উপরে আর কোনো প্রকারের সঠিক ফয়সালা নেই। আপনি যাকে ভালো বাসবেন, সে কোনো দিন অপমানিত হতে পারে না। আর আপনি যার জন্য অমঙ্গল নির্ধারণ করবেন, সে কোনো দিন শক্তিশালী হতে পারবে না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি মহাকল্যাণময় এবং মহামহিমান্বিত”।

اَللّٰهُمَّ اَرِنَا الْحَقَّ حَقًّا وَّارْزُقْنَا اتِّبَاعَهٗ، وَاَرِنَا الْبَاطِلَ بَاطِلًا وَّارْزُقْنَا اجْتِنَابَهٗ.

উচ্চারণ :

আল্লাহুম্মা আরিনাল হাক্কা হাক্কাও ওয়ারজুকনাত্তিবায়াহু ওয়া আরিনাল বাতিলা বাতিলাও ওয়ারজুকনাজতিনাবাহু

অর্থ :

হে আল্লাহ, আপনি হককে হক হিসেবে আমাদের দেখান এবং এর অনুসরণের তাওফীক দিন, আর বাতিলকে বাতিল হিসেবে দেখান এবং এটাকে পরিত্যাগ করার তাওফীক দিন।

ফজিলত :

হে আল্লাহ, আপনি হককে হক হিসেবে আমাদের দেখান এবং এর অনুসরণের তাওফীক দিন, আর বাতিলকে বাতিল হিসেবে দেখান এবং এটাকে পরিত্যাগ করার তাওফীক দিন।

اَللَّهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَ الْجُنُوْنِ وَ الْجُذَامِ وَمِنْ سَىِّءِ الْاَسْقَامِ

উচ্চারণ :

আল্লহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারসি ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুযামি ওয়া মিন ছাইয়্যি ইল আসক্বম

অর্থ :

হে আল্লাহ্‌! অবশ্যই আমি তোমার নিকট ধবল, মস্তিষ্ক বিকৃতি, কুষ্ঠরোগ এবং সকল প্রকার দূরারোগ্য ব্যধি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

ফজিলত :

হে আল্লাহ্‌! অবশ্যই আমি তোমার নিকট ধবল, মস্তিষ্ক বিকৃতি, কুষ্ঠরোগ এবং সকল প্রকার দূরারোগ্য ব্যধি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

اَللَّهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَ الْجُنُوْنِ وَ الْجُذَامِ وَمِنْ سَىِّءِ الْاَسْقَامِ

উচ্চারণ :

আল্লহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারসি ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুযামি ওয়া মিন ছাইয়্যি ইল আসক্বম

অর্থ :

হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই শ্বেতকুষ্ঠ উন্মাদনা, কুষ্ঠরোগ এবং সমস্ত খারাপ রোগ হতে।

ফজিলত :

হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই শ্বেতকুষ্ঠ উন্মাদনা, কুষ্ঠরোগ এবং সমস্ত খারাপ রোগ হতে।

اَللّٰهُمَّ اجْعَلْنِيْ مِنَ التَوَّابِيْنَ. وَاجْعَلْنِـيْ مِنَ الْمُتَطَهِّرِيْنَ

উচ্চারণ :

আল্লাহুম্মাজ্ আলনী মিনাত্ তাওয়াবীনা ওয়াজ্ আলনী মিনাল মুতাতাহ্হেরীন

অর্থ :

হে আল্লাহ! তুমি আমায় তওবাকারীদের দলভুক্ত কর এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদের মধ্যে গণ্য কর।

ফজিলত :

হে আল্লাহ! তুমি আমায় তওবাকারীদের দলভুক্ত কর এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদের মধ্যে গণ্য কর।

اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ رِزْقًا طَيَّبًا , وَ عِلْمًا نَافِعًا , وَ عَمَلاً مُتَقَبَّلاً

উচ্চারণ :

আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা রিযক্বান ত্বইয়িবান, ওয়া ইলমান নাফি’আ, ওয়া য়ামালাম-মুতাক্বাব্বালা।

অর্থ :

আয় আল্লাহ্‌ ! আমি আপনার নিকট পবিত্র রুজি, উপকারী এলেম ও কবুল আমলের তৌফিক চাই।

ফজিলত :

আয় আল্লাহ্‌ ! আমি আপনার নিকট পবিত্র রুজি, উপকারী এলেম ও কবুল আমলের তৌফিক চাই।

اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا. وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا. وَصَغِيْرِنَا وَكَبِيْرِنَا، وَذَكَرِنَا وَاُنْثَانَا اَللّٰهُمَّ مَنْ اَحْيَيْتَهٗ مِنَّا فَاَحْيِهٖ عَلَی الْاِسْلَامِ. وَمَنْ تَوَفَّيْتَهٗ مِنَّا فَتَوَفَّهٗ عَلَى الْاِيْمَانِ.

উচ্চারণ :

আল্লাাহুম্মাগফির লিহাইয়্যিনাা ওয়া মায়্যিতিনাা ওয়া শাা হিদিনাা ওয়া গাা ইবিনাা ওয়া সগী রিনাা ওয়া কাবী রিনাা ওয়া যাকারিনাা ওয়া উনসাা নাা, আল্লাাহুম্মা মান আহইয়াইতাহু মিন্নাা ফা আহইহী ‘আলাল ইসলাাম, ওয়া মান তাওয়াফফাইতাহু মিন্নাা ফাতাওয়াফ্ফাহু ‘আলাল ঈ মাান।

অর্থ :

হে আল্লাহ, আমাদের জীবিত ও মৃত, উপস্থিত ও অনুপস্থিত, ছোট ও বড় এবং পুরুষ ও নারী – সকলকে ক্ষমা করে দিন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের মধ্য থেকে যাঁদেরকে জীবিত রেখেছেন ইসলামের উপর জীবিত রাখেন আর যাদেরকে মৃত্যু দান করেছেন তাদেরকে ঈমানের সাথেই মৃত্যু দান করেন।

ফজিলত :

হে আল্লাহ, আমাদের জীবিত ও মৃত, উপস্থিত ও অনুপস্থিত, ছোট ও বড় এবং পুরুষ ও নারী – সকলকে ক্ষমা করে দিন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের মধ্য থেকে যাঁদেরকে জীবিত রেখেছেন ইসলামের উপর জীবিত রাখেন আর যাদেরকে মৃত্যু দান করেছেন তাদেরকে ঈমানের সাথেই মৃত্যু দান করেন।

اللَّهُمَّ أَجِرْنِى مِنَ النَّارِ

উচ্চারণ :

বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান নার। দোয়াটি হলো (সাত বার)

অর্থ :

বাংলা অর্থ : “হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দাও

ফজিলত :

বাংলা অর্থ : “হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দাও

اَللّٰهُمَّ جَدِّدِ الْإِيْمَانَ فِي قُلُوْبِنَا

উচ্চারণ :

আল্লাহুম্মা জাদ্দিদিল ঈমানা ফি কুলুবিনা

অর্থ :

হে আল্লাহ, তুমি আমাদের হৃদয়ের ইমানকে নবায়ন করে দাও।

ফজিলত :

হে আল্লাহ, তুমি আমাদের হৃদয়ের ইমানকে নবায়ন করে দাও।

«اللَّهُمَّ اجْعَلْ فِي قَلْبِي نُوراً، وَفِي لِسَانِي نُوراً، وَفِي سَمْعِي نُوراً، وَفِي بَصَرِي نُوراً، وَمِنْ فَوْقِي نُوراً، وَمِنْ تَحْتِي نُوراً، وَعَنْ يَمِينِي نُوراً، وَعَنْ شِمَالِي نُوراً، وَمِنْ أَمَامِي نُوراً، وَمِنْ خَلْفِي نُوراً، وَاجْعَلْ فِي نَفْسِي نُوراً، وَأَعْظِمْ لِي نُوراً، وَعَظِّم لِي نُوراً، وَاجْعَلْ لِي نُوراً، وَاجْعَلْنِي نُوراً، اللَّهُمَّ أَعْطِنِي نُوراً، وَاجْعَلْ فِي عَصَبِي نُوراً، وَفِي لَحْمِي نُوراً، وَفِي دَمِي نُوراً، وَفِي شَعْرِي نُوراً، وَفِي بَشَرِي نُوراً «[اللَّهُمَّ اجْعَلْ لِي نُوراً فِي قَبْرِي... وَنُوراً فِي عِظَامِي]» [«وَزِدْنِي نُوراً، وَزِدْنِي نُوراً، وَزِدْنِي نُوراً»] [«وَهَبْ لِي نُوراً عَلَى نُورٍ»].

উচ্চারণ :

(আল্লা-হুম্মাজ‘আল ফী ক্বালবী নূরান, ওয়া ফী লিসানী নূরান, ওয়া ফী সাম্‘য়ী নূরান, ওয়া ফী বাসারী নূরান, ওয়া মিন ফাওকী নূরান, ওয়া মিন তাহ্‌তী নূরান, ওয়া ‘আন ইয়ামীনী নূরান, ওয়া ‘আন শিমালী নূরান, ওয়া মিন আমামী নূরান, ওয়া মিন খলফী নূরান, ওয়াজ‘আল ফী নাফ্‌সী নূরান, ওয়া আ‘যিম লী নূরান, ওয়া ‘আয্‌যিম লী নূরান, ওয়াজ‘আল্ লী নূরান, ওয়াজ‘আলনী নূরান; আল্লা-হুম্মা আ‘তিনী নূরান, ওয়াজ‘আল ফী ‘আসাবী নূরান, ওয়া ফী লাহ্‌মী নূরান, ওয়া ফী দামী নূরান, ওয়া ফী শা‘রী নূরান, ওয়া ফী বাশারী নূরান। [আল্লা-হুম্মাজ‘আল লী নূরান ফী কাবরী, ওয়া নূরান ফী ‘ইযামী] [ওয়া যিদ্‌নী নূরান, ওয়া যিদনী নূরান, ওয়া যিদনী নূরান] [ওয়া হাবলী নূরান ‘আলা নুর]

অর্থ :

“হে আল্লাহ! আপনি আমার অন্তরে নূর (বা আলো) দান করুন, আমার যবানে নূর দান করুন, আমার শ্রবণশক্তিতে নূর দান করুন, আমার দর্শনশক্তিতে নূর দান করুন, আমার উপরে নূর দান করুন, আমার নীচে নূর দান করুন, আমার ডানে নূর দান করুন, আমার বামে নূর দান করুন, আমার সামনে নূর দান করুন, আমার পেছনে নূর দান করুন, আমার আত্মায় নূর দান করুন, আমার জন্য নূরকে বড় করে দিন, আমার জন্য নূর বাড়িয়ে দিন, আমার জন্য নূর নির্ধারণ করুন, আমাকে আলোকময় করুন। হে আল্লাহ! আমাকে নূর দান করুন, আমার পেশীতে নূর প্রদান করুন, আমার গোশ্‌তে নূর দান করুন, আমার রক্তে নূর দান করুন, আমার চুলে নূর দান করুন ও আমার চামড়ায় নূর দান করুন[1]।” [“হে আল্লাহ! আমার জন্য আমার কবরে নূর দিন, আমার হাড়সমূহেও নূর দিন”][2], [“আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন, আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন, আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন”][3], [“আমাকে নূরের উপর নূর দান করুন”]

ফজিলত :

“হে আল্লাহ! আপনি আমার অন্তরে নূর (বা আলো) দান করুন, আমার যবানে নূর দান করুন, আমার শ্রবণশক্তিতে নূর দান করুন, আমার দর্শনশক্তিতে নূর দান করুন, আমার উপরে নূর দান করুন, আমার নীচে নূর দান করুন, আমার ডানে নূর দান করুন, আমার বামে নূর দান করুন, আমার সামনে নূর দান করুন, আমার পেছনে নূর দান করুন, আমার আত্মায় নূর দান করুন, আমার জন্য নূরকে বড় করে দিন, আমার জন্য নূর বাড়িয়ে দিন, আমার জন্য নূর নির্ধারণ করুন, আমাকে আলোকময় করুন। হে আল্লাহ! আমাকে নূর দান করুন, আমার পেশীতে নূর প্রদান করুন, আমার গোশ্‌তে নূর দান করুন, আমার রক্তে নূর দান করুন, আমার চুলে নূর দান করুন ও আমার চামড়ায় নূর দান করুন[1]।” [“হে আল্লাহ! আমার জন্য আমার কবরে নূর দিন, আমার হাড়সমূহেও নূর দিন”][2], [“আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন, আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন, আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন”][3], [“আমাকে নূরের উপর নূর দান করুন”]

اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ وَأَطْعِمْنَا خَيْرًا مِنْهُ

উচ্চারণ :

আল্লা-হুম্মা বারিক লানা ফীহি ওয়া আত‘ইমনা খাইরাম-মিনহু

অর্থ :

হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে এই খাদ্যে বরকত দিন এবং এর চেয়েও উত্তম খাদ্য আহার করান।

ফজিলত :

হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে এই খাদ্যে বরকত দিন এবং এর চেয়েও উত্তম খাদ্য আহার করান।

«اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِيمَا رَزَقْتَهُم، وَاغْفِرْ لَهُمْ وَارْحَمْهُمْ»

উচ্চারণ :

আল্লা-হুম্মা বা-রিক লাহুম ফীমা রাযাক্তাহুম ওয়াগফির লাহুম ওয়ারহামহুম

অর্থ :

হে আল্লাহ! আপনি তাদেরকে যে রিযিক দান করেছেন তাতে তাদের জন্য বরকত দিন এবং তাদের গুনাহ মাফ করুন, আর তাদের প্রতি দয়া করুন

ফজিলত :

হে আল্লাহ! আপনি তাদেরকে যে রিযিক দান করেছেন তাতে তাদের জন্য বরকত দিন এবং তাদের গুনাহ মাফ করুন, আর তাদের প্রতি দয়া করুন

اللَّهُمَّ أَطْعِمْ مَنْ أَطْعَمَنِي، وَاسْقِ مَنْ سَقَانِي

উচ্চারণ :

আল্লা-হুম্মা আত্ব‘ইম মান আত্ব‘আমানী ওয়াসক্বি মান সাক্বা-নী

অর্থ :

হে আল্লাহ! যে আমাকে আহার করাবে আপনি তাদেরকে আহার করান এবং যে আমাকে পান করাবে আপনি তাদেরকে পান করান

ফজিলত :

হে আল্লাহ! যে আমাকে আহার করাবে আপনি তাদেরকে আহার করান এবং যে আমাকে পান করাবে আপনি তাদেরকে পান করান

اللَّهُمَّ فَأَيُّمَا مُؤْمِنٍ سَبَبْتُهُ فَاجْعَلْ ذَلِكَ لَهُ قُرْبَةً إِلَيْكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

উচ্চারণ :

আল্লা-হুম্মা ফাআইয়্যূমা মু’মিনিন্ সাবাবতুহু ফাজ্‘আল যা-লিকা লাহু কুরবাতান ইলাইকা ইয়াউমাল ক্বিয়া-মাতি

অর্থ :

হে আল্লাহ! যে মুমিনকেই আমি গালি দিয়েছি, তা তার জন্য কিয়ামতের দিন আপনার নৈকট্যের মাধ্যম করে দিন

ফজিলত :

হে আল্লাহ! যে মুমিনকেই আমি গালি দিয়েছি, তা তার জন্য কিয়ামতের দিন আপনার নৈকট্যের মাধ্যম করে দিন

اللَّهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ، سَرِيعَ الْحِسَابِ، اِهْزِمِ الأَحْزَابَ، اللَّهُمَّ اهزِِمْهُمْ وَزَلْزِلْهُمْ

উচ্চারণ :

আল্লা-হুম্মা মুনযিলাল কিতা-বি সারী‘আল হিসা-বি ইহযিমিল আহযা-ব। আল্লা-হুম্মাহযিমহুম ওয়া যালযিলহুম

অর্থ :

হে আল্লাহ, কিতাব নাযিলকারী, দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী! আপনি শত্রুবাহিনীকে পরাভূত করুন। হে আল্লাহ! আপনি তাদেরকে পরাজিত করুন এবং তাদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করে দিন।

ফজিলত :

হে আল্লাহ, কিতাব নাযিলকারী, দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী! আপনি শত্রুবাহিনীকে পরাভূত করুন। হে আল্লাহ! আপনি তাদেরকে পরাজিত করুন এবং তাদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করে দিন।

اللَّهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ وَمُجْرِيَ السَّحَابِ وَهَازِمَ الأَحْزَابِ اِهْزِِمْهُمْ وَانْصُرْنَا عَلَيْهِمْ

উচ্চারণ :

আল্লা-হুম্মা মুনযিলাল কিতা-বি ওয়া মুজরিয়াছ-ছাহাবি ওয়া হাযিমাল আহযাবি ইহযিমহুম ওয়ান সুরনা আলাইহিম।

অর্থ :

হে আল্লাহ! কিতাব অবতীর্ণকারী, মেঘমালা পরিচালনাকারী এবং শত্রুদলকে পরাস্তকারী। তুমি তাদের পরাস্ত করো এবং তাদের উপর আমাদেরকে সাহায্য করো।

ফজিলত :

হে আল্লাহ! কিতাব অবতীর্ণকারী, মেঘমালা পরিচালনাকারী এবং শত্রুদলকে পরাস্তকারী। তুমি তাদের পরাস্ত করো এবং তাদের উপর আমাদেরকে সাহায্য করো।

اَللّٰهُمَّ اكْفِنِيهِمْ بِمَا شِئْتَ

উচ্চারণ :

আল্লা-হুম্মাকফিনীহিম বিমা শি’তা

অর্থ :

হে আল্লাহ! আপনি যা ইচ্ছে তা দ্বারাই এদের মোকাবিলায় আমার জন্য যথেষ্ট হোন।

ফজিলত :

হে আল্লাহ! আপনি যা ইচ্ছে তা দ্বারাই এদের মোকাবিলায় আমার জন্য যথেষ্ট হোন।

اَللّٰهُمَّ أَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ

উচ্চারণ :

আল্লা-হুম্মা আ‘য়িযহু মিন আযা-বিল ক্বাবরি

অর্থ :

হে আল্লাহ! এ শিশুকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করুন।

ফজিলত :

হে আল্লাহ! এ শিশুকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করুন।

اللَّهُمَّ سَلِّمْنِي وَسَلِّمْ مِنِّي

উচ্চারণ :

আল্লাহুম্মা সাল্লিমনি ওয়া সাল্লিম মিন্নি

অর্থ :

হে আল্লাহ! আমাকে নিরাপদ রাখো এবং আমার থেকে (অন্যদেরও) নিরাপদ রাখো

ফজিলত :

হে আল্লাহ! আমাকে নিরাপদ রাখো এবং আমার থেকে (অন্যদেরও) নিরাপদ রাখো

اللَّهُمَّ أَدْخِلْهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيمَانِ ، وَالسَّلَامَةِ وَالْإِسْلَامِ ، وَرِضْوَانٍ مِنَ الرَّحْمَنِ ، وَجِوَارٍ مِنَ الشَّيْطَانِ .

উচ্চারণ :

অর্থ :

হে আল্লাহ! আপনি আমাদের মাঝে এ বছরের আগমন ঘটান- শান্তি ও নিরাপত্তা এবং ঈমান ও ইসলামের (উপর অবিচলতার) সাথে; শয়তান থেকে সুরক্ষা ও দয়াময় আল্লাহ্র সন্তুষ্টির সাথে।

ফজিলত :

হে আল্লাহ! আপনি আমাদের মাঝে এ বছরের আগমন ঘটান- শান্তি ও নিরাপত্তা এবং ঈমান ও ইসলামের (উপর অবিচলতার) সাথে; শয়তান থেকে সুরক্ষা ও দয়াময় আল্লাহ্র সন্তুষ্টির সাথে।

اللَّهُمَّ إِنَّا نَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ

উচ্চারণ :

’আল্লাহুম্মা ইন্না নাউজুবিকা মিন আজাবি জাহান্নামা, ওয়া আউজুবিকা মিন আজাবিল কবরি, ওয়া আউজুবিকা মিন ফিতনাতিল মাসিহিদ দাজ্জালি, ওয়া আউজুবিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামাতি। ’

অর্থ :

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি দোজখের আজাব থেকে, আর আমরা আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি কবরের আজাব থেকে, আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি দাজ্জালের ফিতনা থেকে এবং আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে।’

ফজিলত :

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি দোজখের আজাব থেকে, আর আমরা আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি কবরের আজাব থেকে, আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি দাজ্জালের ফিতনা থেকে এবং আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে।’

اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَتَرْكَ الْمُنْكَرَاتِ، وَحُبَّ الْمَسَاكِيْنِ، وَأَنْ تَغْفِرَ لِيْ وَتَرْحَمَنِيْ، وَإِذَاۤ أَرَدْتَ بِقَوْمٍ فِتْنَةً فَتَوَفَّنِيْ غَيْرَ مَفْتُوْنٍ، أَسْأَلُكَ حُبَّكَ وَحُبَّ مَنْ يُّحِبُّكَ وَحُبَّ عَمَلٍ يُّقَرِّبُ إِلٰى حُبِّكَ.

উচ্চারণ :

অর্থ :

ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে তাওফীক চাই ভালো কাজসমূহ করার এবং মন্দ কাজসমূহ ছাড়ার। তাওফীক চাই অভাবীদের ভালোবাসার। আর আমাকে ক্ষমা করুন ও আমার উপর রহম করুন। আর যখন ইচ্ছা করবেন কোনো জাতিকে বিপদগ্রস্ত করার তো আমাকে তুলে নিয়েন বিপদগ্রস্ত হওয়ার আগেই। আমি আপনার কাছে চাই আপনার ভালোবাসা এবং ঐ ব্যক্তির ভালোবাসা, যে আপনাকে ভালোবাসে। আর ঐ কাজেরও ভালোবাসা, যা আপনার ভালোবাসার নিকটবর্তী করে।৬৫

ফজিলত :

ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে তাওফীক চাই ভালো কাজসমূহ করার এবং মন্দ কাজসমূহ ছাড়ার। তাওফীক চাই অভাবীদের ভালোবাসার। আর আমাকে ক্ষমা করুন ও আমার উপর রহম করুন। আর যখন ইচ্ছা করবেন কোনো জাতিকে বিপদগ্রস্ত করার তো আমাকে তুলে নিয়েন বিপদগ্রস্ত হওয়ার আগেই। আমি আপনার কাছে চাই আপনার ভালোবাসা এবং ঐ ব্যক্তির ভালোবাসা, যে আপনাকে ভালোবাসে। আর ঐ কাজেরও ভালোবাসা, যা আপনার ভালোবাসার নিকটবর্তী করে।৬৫

االلَّهُمَّ اهْدِنَا فِيمَنْ هَدَيْتَ ، وَعَافِنَا فِيمَنْ عَافَيْتَ ، وَتَوَلَّنَا فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ ، وَبَارِكْ لَنَا فِيمَا أَعْطَيْتَ ، وَقِنَا شَرَّ مَا قَضَيْتَ ، إِنَّكَ تَقْضِى وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ ، إِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَنَا ، وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُسْلِمِينَ وَالْمُسْلِمَاتِ ، وَأَلِّفْ بَيْنَ قُلُوبِهِمْ ، وَأَصْلِحْ ذَاتَ بَيْنِهِمْ ، وَانْصُرْهُمْ عَلَى عَدُوِّكَ وَعَدُوِّهِمْ ، اللَّهُمَّ الْعَنْ كَفَرَةَ أَهْلِ الْكِتَابِ الَّذِينَ يَصُدُّونَ عَنْ سَبِيلِكَ ، وَيُكَذِّبُوْنَ رُسُلَكَ ، وَيُقَاتِلُونَ أَوْلِيَاءَكَ اللَّهُمَّ خَالِفْ بَيْنَ كَلِمَتِهِمَ ، وَزَلْزِلْ أَقْدَامَهُمْ ، وَأَنْزِلْ بِهِمْ بَأْسَكَ الَّذِى لاَ تَرُدُّهُ عَنِ الْقَوْمِ الْمُجْرِمِينَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْتَعِينُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُثْنِى عَلَيْكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ ، وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَفْجُرُكَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ اللَّهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ ، وَلَكَ نُصَلِّى وَنَسْجُدُ ، وَلَكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ ، نَخْشَى عَذَابَكَ الْجَدَّ ، وَنَرْجُو رَحْمَتَكَ ، إِنَّ عَذَابَكَ بِالْكَافِرِينَ مُلْحَقٌ

উচ্চারণ :

অর্থ :

“হে আল্লাহ! আপনি যাদেরকে সুখদায়ক সৎ পথ প্রকৃত ইসলামের অনুগামী করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সুখশান্তিপূর্ণ মঙ্গলময় জীবন প্রদান করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সর্ব প্রকার কল্যাণ প্রদানের সহিত সাহায্য করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি আমাকে যে সমস্ত মঙ্গলদায়ক জিনিস প্রদান করেছেন, সেগুলিকে আমার জন্য অধিকতর মঙ্গলদায়ক করুন। আপনি যে ফয়সালা করেছেন, তার অমঙ্গল হতে আমাকে রক্ষা করুন। কেননা সব জগতের সঠিক পরিচালনার জন্য যে ফয়সালা আপনি করেছেন, সেটাই সঠিক ফয়সালা। তাই আপনার ফয়সালার উপরে আর কোনো প্রকারের সঠিক ফয়সালা নেই। আপনি যাকে ভালো বাসবেন, সে কোনো দিন অপমানিত হতে পারে না। আর আপনি যার জন্য অমঙ্গল নির্ধারণ করবেন, সে কোনো দিন শক্তিশালী হতে পারবে না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি মহাকল্যাণময় এবং মহামহিমান্বিত”। হে আল্লাহ, ক্ষমা করুন আমাদেরকে, এবং মুমিন পুরুষদেরকে এবং মুমিন নারীদেরকে, এবং মুসলিম পুরুষদেরকে এবং মুসলিম নারীদেরকে, তাদের অন্তরের মধ্যে সম্প্রীতি প্রদান করুন, তাদের আভ্যন্তরীণ সম্পর্ক সুন্দর করে দিন, আপনার ও তাদের শত্রুদের উপর তাদের বিজয় প্রদান করুন। হে আল্লাহ, যে সকল আহলে কিতাব আপনার পথ থেকে মানুষদেরকে বাধা দেয়, আপনার রাসূলগণকে অবিশ্বাস করে এবং আপনার ওলীগণের সাথে যুদ্ধ করে তাদের অভিশপ্ত করুন। হে আল্লাহ! বিভেদ সৃষ্টি করে দাও তাদের কথার মাঝে এবং কম্পন সৃষ্টি করে দাও তাদের পদযুগলে আর নাজিল করো তোমার এমন শাস্তি যা তুমি অপরাধীগণ থেকে অপসারণ করো না। পরম করুনাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। হে আল্লাহ আমরা আপনার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি, এবং একমাত্র আপনার কাছেই ক্ষমাপ্রার্থী। এবং আপনার সকল কল্যাণের প্রশংসা করছি। এবং আমরা আপনার অনুগ্রহ অস্বীকার করি না। আমরা পৃথক চলি। এবং পরিত্যাগ করি এমন লোকদের, যারা আপনার বিরুদ্ধাচারণ করে। পরম করুনাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। হে আল্লাহ! আমরা আপনারই ইবাদত করি। এবং আপনারই সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আমরা নামাজ পড়ি ও সিজদা করি। আপনার প্রতিই আমরা ধাবিত হই, আপনার হুকুম পালনের জন্যই প্রস্তুত থাকি, আপনার কঠিন শাস্তিকে ভয় করি। এবং আমরা আপনার রহমাতের আশা করি, নিশ্চাই আপনার প্রকৃত আযাব কাফেরদের উপর পতিত হবে।

ফজিলত :

“হে আল্লাহ! আপনি যাদেরকে সুখদায়ক সৎ পথ প্রকৃত ইসলামের অনুগামী করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সুখশান্তিপূর্ণ মঙ্গলময় জীবন প্রদান করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সর্ব প্রকার কল্যাণ প্রদানের সহিত সাহায্য করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি আমাকে যে সমস্ত মঙ্গলদায়ক জিনিস প্রদান করেছেন, সেগুলিকে আমার জন্য অধিকতর মঙ্গলদায়ক করুন। আপনি যে ফয়সালা করেছেন, তার অমঙ্গল হতে আমাকে রক্ষা করুন। কেননা সব জগতের সঠিক পরিচালনার জন্য যে ফয়সালা আপনি করেছেন, সেটাই সঠিক ফয়সালা। তাই আপনার ফয়সালার উপরে আর কোনো প্রকারের সঠিক ফয়সালা নেই। আপনি যাকে ভালো বাসবেন, সে কোনো দিন অপমানিত হতে পারে না। আর আপনি যার জন্য অমঙ্গল নির্ধারণ করবেন, সে কোনো দিন শক্তিশালী হতে পারবে না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি মহাকল্যাণময় এবং মহামহিমান্বিত”। হে আল্লাহ, ক্ষমা করুন আমাদেরকে, এবং মুমিন পুরুষদেরকে এবং মুমিন নারীদেরকে, এবং মুসলিম পুরুষদেরকে এবং মুসলিম নারীদেরকে, তাদের অন্তরের মধ্যে সম্প্রীতি প্রদান করুন, তাদের আভ্যন্তরীণ সম্পর্ক সুন্দর করে দিন, আপনার ও তাদের শত্রুদের উপর তাদের বিজয় প্রদান করুন। হে আল্লাহ, যে সকল আহলে কিতাব আপনার পথ থেকে মানুষদেরকে বাধা দেয়, আপনার রাসূলগণকে অবিশ্বাস করে এবং আপনার ওলীগণের সাথে যুদ্ধ করে তাদের অভিশপ্ত করুন। হে আল্লাহ! বিভেদ সৃষ্টি করে দাও তাদের কথার মাঝে এবং কম্পন সৃষ্টি করে দাও তাদের পদযুগলে আর নাজিল করো তোমার এমন শাস্তি যা তুমি অপরাধীগণ থেকে অপসারণ করো না। পরম করুনাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। হে আল্লাহ আমরা আপনার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি, এবং একমাত্র আপনার কাছেই ক্ষমাপ্রার্থী। এবং আপনার সকল কল্যাণের প্রশংসা করছি। এবং আমরা আপনার অনুগ্রহ অস্বীকার করি না। আমরা পৃথক চলি। এবং পরিত্যাগ করি এমন লোকদের, যারা আপনার বিরুদ্ধাচারণ করে। পরম করুনাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। হে আল্লাহ! আমরা আপনারই ইবাদত করি। এবং আপনারই সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আমরা নামাজ পড়ি ও সিজদা করি। আপনার প্রতিই আমরা ধাবিত হই, আপনার হুকুম পালনের জন্যই প্রস্তুত থাকি, আপনার কঠিন শাস্তিকে ভয় করি। এবং আমরা আপনার রহমাতের আশা করি, নিশ্চাই আপনার প্রকৃত আযাব কাফেরদের উপর পতিত হবে।

Post a Comment

نموذج الاتصال