♥রাসূল (ﷺ) ♥প্রতি সাহাবায়ে কেরামদের তাজিম

 


 প্রিয়,,

ইসলামি ভাই ও বোনেরা  আস-সালামু আলাইকুম ওয়া-রাহমাতুল্লাহি ওয়া-বারাকাতু; আরবি: ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ ٱللَّٰهِ وَبَرَكَاتُهُ‎‎; 

বর্তমান সময় হল ফেৎনার যুগ। ইতিপূর্বেই  আমাদের চারপাশে, সমাজে অনেক ফেৎনার আর্বিভাব ঘটেছে যার ফলে আমরা অনেক সহিহ আমল করার ক্ষেএে অনেক দ্বিধা দন্দের মধ্যে পরতে হয়,, 

বর্তমানে কিছু লকব দ্বারি আলেম তাদের কিতাবে বিনা দলিলে প্রচার করতেছেন নামাজের মধ্যে সুলতানে দো-আলম, নূরে মুজাস্সাম, শাহে বনী আদম, রাসূলে মুহ্তাশাম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم খেয়াল আসা গরু,গাধা,চেয়ে নিকৃষ্ট (নাউযুবিল্লাহ),,কোন মুসলিম, মমিন ব্যক্তি বর্গ দ্বারা এসব প্রকাশ সম্ভব নয়। তাদের এ নিকৃষ্ট কথার পেক্ষিতে কিছু প্রামাণ্য স্বরূপ পেশ করা হল,,,→  →→

নামায অবস্থায় সাহাবায়ে কিরাম (رضي الله عنه)’র মনে রাসূল (ﷺ)’র তা’যিম খেয়াল আসাঃ-


হযরত সাহাল বিন সা’দ (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন যে, রাসূলে পাক (ﷺ) বনূ ‘আমর বিন আউফের সাথে সন্ধি করার জন্য তাশরিফ নিলেন। নামাযের সময় হলে মুয়ায্যিন হযরত আবূ বকর (رضي الله عنه)’র কাছে এসে বললেন,


أَتُصَلِّي بِالنَّاسِ فَأُقِيمُ؟


-‘‘আপনি লোকদের নিয়ে নামায পড়ালে আমি ইকামত বলব।’’


হযরত সাহাল বিন সা‘দ (رضي الله عنه) বলেন, হযরত আবূ বাকর (رضي الله عنه) বললেন- হ্যাঁ, ঠিক আছে। এরপর তিনি জামাত শুরু করলেন।


‘এরই মধ্যে রাসূলে পাক (ﷺ) তাশরীফ এনে প্রথম কাতারে গিয়ে দাঁড়ালেন।’ হযরত আবূ বকর (رضي الله عنه) যেহেতু নিমগ্ন হয়ে নামায পড়ছিলেন, এ জন্য তিনি বলতে পারেন না যে, নবী কারীম (ﷺ) তাশরীফ এনেছেন। আর তিনি তাঁর মতো করেই নামায পড়িয়ে যাচ্ছেন।


فَصَفَّقَ النَّاسُ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ لَا يَلْتَفِتُ فِي الصَّلَاةِ


সাহাবায়ে কেরাম যখন দেখলেন যে, রাসূল (ﷺ) এর আগমনের প্রতি আবু বকর (رضي الله عنه) এর মনোযোগ নেই, তখন সাহাবায়ে কিরাম (رضي الله عنه) হাতের উপর হাত মেরে আওয়াজ তুললেন। ‘হাতের শব্দ ক্রমেই বেড়ে গেল হযরত আবু বকর (رضي الله عنه) পেছনে ফিরে দেখেন রাসূল কারীম (ﷺ) নামাযে তাশরীফ এনেছেন।’


‘রাসূল (ﷺ) তাঁকে নামায চালিয়ে নিতে ইশারা করলেন।’ ‘এরপর হযরত আবূ বকর (رضي الله عنه) তাঁর দুই হাত তুলে রাসূল (ﷺ) এর এই হুকুমের উপর আল্লাহর প্রশংসা করলেন।’

-‘হযরত আবু বকর (رضي الله عنه) ইমামতি থেকে পেছনে চলে আসলেন আর রাসূলে কারিম (ﷺ) ইমামের স্থানে গিয়ে বাকি নামায সমাপ্ত করলেন।’


-‘সালাম ফিরানোর পর রাসূলে পাক (ﷺ) বললেন, আবু বকর (رضي الله عنه)! আমি আদেশ করার পরেও কোন বিষয়টি জামা‘আত চালিয়ে নিতে বাঁধা দিয়েছে?’-‘হযরত আবূ বকর (رضي الله عنه) বললেন, ইবনে কোহাফা (আবু বকর (رضي الله عنه)) এর পক্ষে সম্ভব নয় যে, রাসূল (ﷺ) এর সামনে ইমামতি করবেন।’এরপর রাসূল (ﷺ) সাহাবায়ে কিরাম (رضي الله عنه) কে বললেন, তোমরা হাতের উপর হাত কেন মেরেছো?


مَنْ نَابَهُ شَيْءٌ فِي صَلَاتِهِ فَلْيُسَبِّحْ فَإِنَّهُ إِذَا سَبَّحَ الْتُفِتَ إِلَيْهِ وَإِنَّمَا التَّصْفِيحُ لِلنِّسَاءِ


-‘নামাযে যদি কোন কিছু সংঘঠিত হয়, তবে সুবহানাল্লাহ বলবে। সুবহানাল্লাহ বললে, ইমাম পেছনে ফিরবেন। তবে হ্যাঁ, মহিলারা হাতের উপর হাত মারবে।’  


(সহীহ মুসলিম, ১/৩১৬ পৃ. আন্তর্জাতিক হাদীস নং/৪২১, পরিচ্ছেদ: بَابُ تَقْدِيمِ الْجَمَاعَةِ مَنْ يُصَلِّي بِهِمْ إِذَا تَأَخَّرَ الْإِمَامُ وَلَمْ يَخَافُوا مَفْسَدَةً بِالتَّقْدِيمِ, ইমাম আবু দাউদ, আস-সুনান, ১/২৪৭ পৃ. হা/৯৪০, ইমাম খুজায়মা, আস-সহীহ, ৩/৫৮ পৃ. হা/১৬২৩}


আক্বিদা


সরকারে সায়্যিদুনা আবূ বকর সিদ্দিক (رضي الله عنه) এর ফযিলত সূর্যের মতো স্পষ্ট, অনুরূপভাবে সাহাবায়ে কিরাম (رضي الله عنه) এর আক্বিদাও স্পষ্ট যে, তারা নামাযের মধ্যেও রাসূল (ﷺ) এর খেয়াল রাখতেন। জামা‘আতে নামায পড়া অবস্থায় একাধিকবার হাতের উপর হাত মারা শুধুমাত্র রাসূল (ﷺ) এর সম্মানের জন্যই। নামাযে নবীর (ﷺ) খেয়াল আসা শিরক, গরু গাধা এবং ব্যভিচার করার খেয়াল থেকেও মারাত্মক বলে ফতোয়া দেয়া, বেআদবি এবং কুফরি।


রাসূল (ﷺ) এর ইশারা হযরত সিদ্দিক আকবর (رضي الله عنه) নামায অবস্থায় দেখেছেন। আর ইশারা দেখেছেন পেছনে ফিরে। নামাযও পূর্ণ করেছেন। সাহাবায়ে কিরাম (رضي الله عنه)ও নামায অবস্থায় হাতের উপর হাত মারেন। সায়্যিদুনা সিদ্দিক আকবার (رضي الله عنه) মুসল্লা থেকে পেছনে চলে এসেছেন শুধুমাত্র রাসূল (ﷺ) এর তা’যিমের জন্য।


কবি বলেন-


شرك ٹهہر ےجس ميں تعظيم رسول


اس برے  مذہب  پہ لعنت كيبئ


-‘যে মাযহাবে রাসূলের তা‘যিমকে শিরক সাব্যস্ত করে,


ঐ মন্দ (এ রকম অভিসপ্ত) মাযহাবের উপর লা‘নত বর্ষিত হোক।’

Post a Comment

Previous Next

نموذج الاتصال