♥♥♥♥♥
প্রিয় রাসূল ﷺ কী ইলমে-গায়েব জানতেন না ?
-----------------
সহীহ ধোঁকাবাজরা প্রিয় রাসূল ﷺ-এর সম্পর্কে বলেন, তিনি নাকি ইলমে-গায়েব জানতেন না। নাউজুবিল্লাহ!
তাদের দাবি হচ্ছে, ইলমে-গায়েব একমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালাই জানেন!!
তারা আরো বলেন, আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ ইলমে-গায়েব জানে এ রকম বিশ্বাস করলে তা হবে শির্ক!!!
আসলেই কি তাই ?
এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে তাদের সহীহ ধোঁকা থেকে সচেতন করতে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
গায়েব এর অর্থ কী ?
গায়েব শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে: অদৃশ্য, অনুপস্থিত, অন্তর্ধান। এর পারিভাষিক অর্থ প্রসঙ্গে ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ূতী (রা.), আল্লামা কাজী নাসিরুদ্দিন বায়জাবী (রা.) ও ইমাম ফখরুদ্দিন রাজি (রা.) বলেন, অধিকাংশ মুফাসসিরীনে কেরাম এর বক্তব্য হলো, নিশ্চয় গায়েব হচ্ছে এমন বিষয় যা (পঞ্চ) ইন্দ্রিয় সমূহ হতে অদৃশ্য।
[রেফারেন্স: ইমাম রাজি, তাফসিরে কাবীর, ২/৩১ পৃ:]
এ সম্পর্কে বিখ্যাত মুফাসসীর আল্লামা ইসমাইল হাক্কী (রা.) বলেন, "আর 'গায়েব' হচ্ছে যা ইন্দ্রিয় সমূহ ও আকল দ্বারা অনুধাবন করা যায় না।
[রেফারেন্স: ইসমাইল হাক্কী, তাফসিরে রুহুল বয়ান, ১/৩২ পৃ:]
অর্থাৎ মানুষের ইন্দ্রিয় হচ্ছে ৫ টি। যেমন, ১. নাক, ২. কান, ৩. চোখ, ৪. জিহ্বা ও ৫. ত্বক। এই ৫ টি ইন্দ্রিয় ও আকল বা বুদ্ধি দ্বারা যা অনুধাবন করা যায় না তাকেই বলা হয় 'গায়েব'।
অর্থাৎ যা আপন জায়গা থেকে চোখে দেখা যায় না। যে ঘ্রাণ আপন জায়গা থেকে গ্রহণ করা যায় না। যে কথার আওয়াজ আপন জায়গা থেকে শোনা যায় না। যে স্বাদ আপন জায়গা থেকে গ্রহণ করা যায় না। যে অনুভূতি আপন জায়গা থেকে অনুভব করা যায় না। তাকেই বলা হয় 'গায়েব'।
গায়েবের প্রকারভেদ।
গায়েব ২ প্রকার, যেমন, গায়েবে জাতি এবং গায়েবে আ'তায়ী।
যেমন এ বিষয় সম্পর্কে আল্লামা ইসমাঈল হাক্বী হানাফী (রা.) (ওফাত ১১২৭ হি.) তাঁর কিতাবে বলেন, "আর ইহা (গায়েব) ২ প্রকার। এক প্রকারের যুক্তি-প্রমাণ বিদ্যমান রয়েছে। আরেক প্রকারের কোন যুক্তি-প্রমাণ নেই।
[রেফারেন্স: তাফসিরে রুহুল বয়ান, ১/৩২ পৃ:]
এ প্রসঙ্গে আল্লামা ইমাম ফখরুদ্দীন রাজী (রা.) (ওফাত ৬০৬ হ.) বলেন, গায়েবের এক প্রকারের যুক্তি-প্রমাণ রয়েছে, আরেক প্রকারের কোন যুক্তি-প্রমাণ নেই।
[রেফারেন্স: তাফসিরে কবীর, ২/৩১ পৃ:]
সুতরাং যে প্রকারের গায়েবের যুক্তি-প্রমাণ বিদ্যমান নেই ঐ ধরণের গায়েবকে বলা হয় 'গায়েবে জাতি' যা আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কেউ জানে না। আর যে গায়েবের যুক্তি-প্রমাণ বিদ্যমান রয়েছে তাকে বলা হয় 'গায়েবে আ'তায়ী'।
এই ধরণের গায়েব মহান আল্লাহ তায়ালা যাঁকে খুশি তাঁকে দান করেন।
আরো সহজ ভাষায় বলতে গেলে, গায়েব ২ প্রকার।
১. মহান আল্লাহর ক্ষেত্রে জ্ঞান হচ্ছে, নিজস্ব বা সত্তাগত।
২. নবী-রাসূলগণের ক্ষেত্রে জ্ঞান হচ্ছে, আল্লাহ প্রদত্ত।
এবার রাসূল ﷺ'র ইলমে-গায়েবের পক্ষে কোরআন-হাদিস থেকে নিচে কিছু দলিল-প্রমাণ পেশ করছি।
দলিল নং-১
-------------------
মহান রব তায়ালা ইরশাদ করেন, (আল্লাহ পাক) তাঁর মনোনীত রাসূলগণ ছাড়া কাউকে তাঁর অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে প্রকাশ বা অবহিত করেন না।
[রেফারেন্স: সূরা: জ্বিন, আয়াত: ২৬, পারা: ২৯]
তাফসীরে 'খাযেনে' এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, যাঁদেরকে (আল্লাহ পাক) নবুয়ত বা রিসালাতের জন্য মনোনীত করেন, তাঁদের মধ্যে হতে যাঁকে ইচ্ছা করেন, তাঁর কাছে এ অদৃশ্য বিষয় ব্যক্ত করেন, যাতে তাঁর অদৃশ্য বিষয়াদির সংবাদ প্রদান তাঁর নবুয়তের সমর্থনে সর্ব সাধারণের নিকট প্রমাণ স্বরূপ গৃহীত হয়। এটাই তাঁর মুজিযারূপে পরিণত হয়।
[রেফারেন্স: ইমাম খাযিন, লুবাবুত তা'ভীল, ৪/৩১৯ পৃ:]
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসীরে রূহুল বয়ানে আছে–
শায়খ মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবী (রা.) বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা তাঁর পছন্দনীয় রাসূল ছাড়া কাউকে তাঁর খাস গায়েব সম্পর্কে অবহিত করেন না। তবে তাঁর বিশেষ অদৃশ্য বিষয়াদি ছাড়া অন্যান্য অদৃশ্য বিষয়াদি রাসূল নন এমন ব্যক্তিদেরকেও অবহিত করেন।
[রেফারেন্স: আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী, তাফসীরে রূহুল বয়ান, ১০/২৩৬ পৃ:]
দলিল নং-২
-------------------
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন, তিনি (নবী) গায়েব প্রকাশের ক্ষেত্রে কৃপণ নন।
[রেফারেন্স: সূরা: তাকভীর, আয়াত: ২৪]
এ কথা বলা তখনই সম্ভব হবে, যখন প্রিয় রাসূল ﷺ গায়বী ইলমের অধিকারী হয়ে জনগণের কাছে তা প্রকাশ করবেন।
ইমাম বগভী (রা.) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেছেন, রাসূল (ﷺ) অদৃশ্য বিষয়, আসমানী খবর ও কাহিনী সমূহ প্রকাশ করার ব্যাপারে কৃপণ নন। অর্থাৎ রাসূল ﷺ অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান লাভ করেন, তবে তা তোমাদের কাছে ব্যক্ত করার ক্ষেত্রে কোন রকম কার্পণ্য করেন না, বরং তোমাদেরকে জানিয়ে দেন ও উহাদের সংবাদ দেন। গণক ও ভবিষ্যৎ-বক্তারা যে রূপ খবর গোপন করে রাখেন। সে রকম তিনি গোপন করেন না।
[রেফারেন্স: ইমাম বগভী (রা.), মা'আলিমুত তানযীল, ৪/৪২২ পৃ:]
ইমাম খাযেন (রা.) এ আয়াতের তাফসীরে লিখেছেন, এ আয়াতে এ কথাই বোঝানো হয়েছে যে, রাসূল ﷺ'র কাছে অদৃশ্য বিষয়ের সংবাদ আসে। তিনি তা তোমাদের কাছে ব্যক্ত করার ক্ষেত্রে কার্পণ্য করেন না, বরং তোমাদেরকে জানিয়ে দেন।
[রেফারেন্স: ইমাম খাযেন, লুবাবুত তা'ভীল, ৪/৩৫৭ পৃ:]
দলিল নং-৩
-------------------
মহান আল্লাহ তায়ালা অন্যত্র আরো ইরশাদ করেন, হে সাধারণ লোকগণ! এটা আল্লাহর শান নয় যে তোমাদের ইলমে-গায়েব দান করবেন। তবে হ্যাঁ, রাসূলগণের মধ্যে যাঁকে তিনি ইচ্ছা করেন, তাঁকে এ অদৃশ্য জ্ঞানদানের জন্য মনোনীত করেন।
[রেফারেন্স: সূরা: আলে ইমরান, আয়াত, ১৭৯, পারা ৪]
ইমাম খাযেন (রা.) তাঁর তাফসীরে খাযেনে লিখেছেন, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা রাসূলগণের মধ্যে যাঁদেরকে ইচ্ছে করেন মনোনীত করেন, তাঁদেরকে ইলমে-গায়েব সম্পর্কে তাঁদেরকেই অবহিত করেন।
[রেফারেন্স: ইমাম খাযেন, তাফসীরে খাযেন, ১/৩০৮ পৃ:]
ইমাম রাজী (রা.) তাঁর তাফসীরে কাবীরে এ আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেছেন, আল্লাহ প্রদত্ত অদৃশ্য জ্ঞানের ফলশ্রুতি স্বরূপ সে সমস্ত অদৃশ্য বিষয়াদি জেনে নেয়া নবীগণ (আ.)'রই বৈশিষ্ট্য।
[রেফারেন্স: ইমাম রাজী, তাফসীরে কাবীর ৯/৪৪২ পৃ:]
দলিল নং-৪
-------------------
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, এবং আপনাকে শিখিয়ে দিয়েছেন, যা আপনি জানতেন না। আপনার উপর আল্লাহর এটি একটি বড় মেহেরবানী।
[রেফারেন্স: সূরা: নিসা, আয়াত, ১১৩]
ইমাম সুয়ূতী (রা.) তাঁর তাফসীরে জালালাইনে এ আয়াতের তাফসীরে লিখেছেন, যা তিনি ﷺ জানতেন না, তা হচ্ছে ধর্মের অনুশাসন ও (ইলমে-গায়েব) অদৃশ্য বিষয়াদি।
[রেফারেন্স: ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ূতী, তাফসীরে জালালাইন, ৯৭ পৃ:]
দলিল নং-৫
-------------------
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, আমার পক্ষ থেকে তাঁকে বিশেষ রহমত দান করেছি এবং আমি তাঁকে (খিজিরকে) ইলমে-লাদুন্নী দান করেছি।
[রেফারেন্স: সূরা: কাহাফ, আয়াত নং ৬৫]
এই আয়াতের তাফসীরে আল্লামা কাজী নাছিরুদ্দিন বায়জাবী (র.) বলেন, আমি খিজির (আ.)-কে এমন কিছু শিখিয়ে দিয়েছি যা আমিই অবগত, আমি না জানালে কেউ ইহা জানতে পারেনা, আর ইহাই হলো ইলমে-গায়েব।
[রেফারেন্স: তাফসীরে বায়জাবী, ২য় খণ্ড, ২১পৃ:]
খিজির (আ.) কোন নবী নন, বরং একজন আল্লাহর অলি। তাঁকে যদি আল্লাহ ইলমে-লাদুন্নী নামে ইলমে-গায়েব দান করতে পারেন, তাহলে নবীজি ﷺ-কে কি আল্লাহ ইলমে-গায়েব দান করতে পারেন না ? হযরত খিজির (আ.) তো আমার প্রিয় নবীজির ﷺ একজন গোলাম মাত্র।
দলিল নং-৬
-------------------
মহান আল্লাহ বলেন, ইহার গায়েবের সংবাদ ইহা আপনাকে ওহীর মাধ্যমে জানাই।
[রেফারেন্স: সূরা: আলে-ইমরান, ৪৪ এবং সূরা: ইউছুফ, আয়াত নং ১০২]
পবিত্র কোরআনের এই আয়াত দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহর প্রিয় নবী ﷺ-কে ওহীর মাধ্যমে ইলমে-গায়েব দান করেছেন।
তাই ওহীর মাধ্যমে প্রিয় নবীজির ﷺ'র ইলমে-গায়েব অস্বীকার করা মূলত কোরআনকে অস্বীকার করা।
আর কোরআনকে অস্বীকার করা মানে নিঃসন্দেহে তা কুফরী।
দলিল নং-৭
-------------------
হযরত উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল ﷺ এক জায়গায় আমাদের সাথে অবস্থান করেছিলেন, সেখানে তিনি ﷺ আমাদেরকে আদি সৃষ্টির সংবাদ দিচ্ছিলেন, এমন কি বেহেশতবাসী ও দোযখবাসীগণ নিজ নিজ মনযিলে বা ঠিকানায় পৌঁছে যাওয়া অবধি পরিব্যাপ্ত যাবতীয় অবস্থা ও ঘটনাবলীর বর্ণনা প্রদান করেন। যিনি এসব স্মরণ রাখতে পেরেছেন, তিনি তো স্মরণ রেখেছেন, আর যিনি স্মরণ রাখতে পারেননি, তিনি ভুলে গেছেন।
[রেফারেন্স: সহীহ বুখারী, আস-সহীহ, ২৮৬, হা নং ৩১৯২, সহীহ মুসলিম, আস-সহীহ, কিতাবুল ফিতান, ২/৩৯০ পৃ:, খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ৫/৫০৬ পৃ:, হা নং ৫৬৯৯, তিরমিজী আস-সুনান, ৪/৪১৯, হা নং ২১৯১, আবু দাউদ, আস-সুনান, ৪/৪৪১ পৃ:, হা নং ৪২৪০]
সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু বলে দেওয়া ইলমে-গায়েবের প্রমাণ বহন করে।
দলিল নং-৮
-------------------
হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলের পাক ﷺ বলেছেন, (বদরের যুদ্ধের আগের দিন) প্রিয় নবীজি ﷺ যুদ্ধের ময়দানে গিয়ে জমীনে হাঁত রেখে বললেন, আগামীকাল এই জায়গায় অমুক (উতবা) মারা যাবে। আরেকটি জায়গায় হাঁত রেখে বললেন, আগামীকাল এই জায়গায় অমুক (শায়বাহ) মারা যাবে। আরেকটি জায়গায় হাঁত রেখে বললেন, আগামীকাল এই জায়গায় অমুক (আবু জেহেল) মারা যাবে। হযরত আনাস (রা.) বলেন, ঐ সত্ত্বার কসম! যাঁর হাঁতে আমার প্রাণ, প্রিয় নবীজি ﷺ যেখানে হাঁত রেখে যার নাম বলেছেন, ঠিক সেখান থেকেই এ ব্যক্তির লাশ যুদ্ধের পরে টেনে নিয়েছিলাম।
[রেফারেন্স: সহীহ মুসলিম, হাদিস নং ১৭৭৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২৬৮১ জিহাদ অধ্যায়, ইমাম বায়হাক্বী: সুনানুল কুবরা, হাদিস নং ১৮৪৩৮, মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ১৮২, মুসনাদে বাজ্জার, হাদিস নং ২২২]
এ ছাড়াও আরো অনেক কিতাবে এই হাদিসটি উল্লেখ করা আছে।
এই হাদিসটিও ইলমে-গায়েবের প্রমাণ বহন করে।
দলিল নং-৯
-------------------
হযরত উবাদাহ ইবনে জাররাহ (রা.) বলেন, রাসূলে পাক ﷺ বলেছেন, আমার পর উম্মতের মাঝে ন্যায় ও ইনছাফের মাধ্যমে খেলাফত চলবে। কিন্তু উমাইয়া গোত্রের একটি লোক তা নষ্ট করে দিবে, তার নাম ইয়াজিদ।
[রেফারেন্স: মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদিস নং ৮৭১, মুসনাদে হারেছ, হাদিস নং ৬১৬, ইমাম সুয়ূতি, খাসায়েসুল কুবরা, ২য় খণ্ড, ২৩৬ পৃ:]
নাপাক ইয়াজিদের কুকর্মের অনেক আগে প্রিয় নবীজি ﷺ এই ভবিষ্যৎ বাণী করেছেন।
দলিল নং-১০
---------------------
আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার প্রিয় রাসূল ﷺ হযরত আবু বকর, হযরত উমর, ও হযরত উসমান (রা.)-কে নিয়ে উহুদ পাহাড়ে উঠলেন। উহুদ পাহাড়টি নড়ে উঠল। আল্লাহর রাসূল ﷺ বললেন, উহুদ, থামো! তোমার উপর একজন নবী, একজন সিদ্দীক ও দুজন শহীদ রয়েছেন।
[রেফারেন্স: সহীহ বুখারী, হা নং ৩৬৭৫]
প্রিয় রাসূল ﷺ হযরত উমর (রা.) ও হযরত উসমান (রা.)-কে শহীদ হওয়ার অনেক আগেই শহীদ বলেছিলেন।
ধোঁকাবাজদের কাছে আমার প্রশ্ন এটি কী ইলমে-গায়েব নয় ?
এবং এটি সহীহ বুখারী শরীফের হাদিস।
এই হাদিসটিও ইলমে-গায়েবের প্রমাণ বহন করে।
এ বিষয়ে আরো অসংখ্য দলিল-প্রমাণ আমার কাছে মজুত আছে। আলহামদুলিল্লাহ!
লেখা আরো বড় হবে এবং আপনাদের পড়তে কষ্ট হওয়ার কথা বিবেচনা করে এখানে আর কোন দলিল উল্লেখ করছি না।
নবী শব্দের সঠিক ব্যাখ্যা।
---------
'নবী' শব্দের অর্থই হচ্ছে 'গায়েবের সংবাদ দেনে ওয়ালা'।
সাধারণ অর্থে 'নবী' অর্থ সংবাদ দাতা। তবে নবীর ক্ষেত্রে 'নবী' শব্দের অর্থ শুধু সংবাদ দাতা হবে না। কারণ শুধু সংবাদ দাতাই যদি নবী হয়, তাহলে রেডিও, টেলিভিশন ও পত্র-পত্রিকার সকল সংবাদ দাতাই 'নবী' হয়ে যাবে। নাউজুবিল্লাহ!
যদি সংবাদ দাতা বলতে ধর্মীয় সংবাদ বুঝায়, তাহলে সকল ধর্মীয় আলেমগণ 'নবী' হয়ে যাবে। নাউজুবিল্লাহ!
সুতরাং 'নবী' হচ্ছেন তিনি যিনি অজানা ও অদৃশ্যের সংবাদ দান করেছেন।
তাই 'নবী' শব্দের সঠিক অর্থ হচ্ছে, 'গায়েবের সংবাদ দাতা'।
যে ব্যক্তি বলে নবী ইলমে-গায়েব জানেন না, সে ব্যক্তি নবীকে নবী হিসেবে মানল না।
কারণ নবীকে মানতে হলে নবীর ইলমে-গায়েবকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে।
প্রিয় নবী ﷺ'র ইলমে-গায়েবকে অস্বীকার করা নিঃসন্দেহে কুফরী।
উপরোক্ত দলীল-প্রমাণ দ্বারা সাব্যস্ত হলো যে, আল্লাহর প্রিয় রাসূল ﷺ ইলমে গায়েব জানেন